Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ফুলবাড়ীতে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা

 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার কারণে এক্সেভেটর দিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর।


শুক্রবার (৭ মার্চ ) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে  ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের অভিযোগে পাঁচটি ইটভাটা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইটভাটাগুলো হচ্ছে, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের এমএসএইচ ব্রিকস, ডাব্লিউএএইচ ব্রিকস ও কেবি ব্রিকস। বড়ভিটা ইউনিয়নে অবস্থিত এমএবি ব্রিকস এবং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত জেএমএস ব্রিকস। 


জানা যায়, উল্লিখিত পাঁচটি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। নির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি মেনে বাংলাদেশে ইটভাটা পরিচালনা করার বিধান থাকলেও এসকল ভাটা মালিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। ফলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। 

অভিযান পরিচালনার সময় জেলা এক্সিকিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ, কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম, ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, এর আগে ভাটাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তারা চুপিচুপি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাই শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করছি কিন্তু বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শেষ করতে পারিনি। কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় একটি ইটভাটা বৈধ কাগজপত্র থাকলেও বাকি পাঁচটি বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইটভাটা ভেঙে ফেলার অভিযান শুরু করেছি। এ অভিযান চলমান থাকবে। 

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা এক্সিকিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। 


প্রতিবেদকঃ অনিল চন্দ্র রায়, দ্য নিউজ




Post a Comment

0 Comments