প্রতিবেদকঃ মোঃ মাইদুল ইসলাম
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের ব্যস্ততা। আমন চারা রোপণের পূর্ণাঙ্গ বয়স হওয়ায় ধান চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে আমন চারা রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। আমনের জমি তৈরি করতে হালচাষ, আইল বাঁধা ও আইলের সাইড কেটে জমিকে আমন চাষের উপযোগী করছেন।
কৃষকরা জানান, দু'এক দিনের বৃষ্টিতে জমিতে কিছুটা পানি জমেছে তাতে আমরা জমি প্রস্তুত করছি। কেউ কেউ চারা রোপন শুরু করেছেন। তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল-সন্ধ্যা মাঠে কাজ করছেন। তারা জানান, সামনে বৃষ্টি না হলে আমন রোপনে সেচ দিতে হবে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান রোপন শেষ হবে।
উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের কইকুড়ি বিলের কৃষক সুবহান ও এরশাদ বলেন, এক মাস আগে আমন ধান বীজ তলায় ছিটানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেই চারা তুলে পুনরায় অন্য জমিতে রোপণ করা হয়। সেই চারা আমনের জমিতে রোপণ করা হয়। এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা আমন চাষের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাথরডুবির মইদাম ভূষিরভিটা এলাকার কুব্বাত আলী জানান, আমরা এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবো। চারা প্রস্তুত করা আছে। জমিতে পানি কম থাকায় চারা রোপণে দেরি হচ্ছে। দু’একদিনে বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণ শুরু করবো।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের হাসেম আলী বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আমন ধান লাগাবো। এসব জমিতে বিঘা প্রতি চারা রোপণে দিনমুজুর খরচ ২৫০০-৩০০০ টাকা, হালচাষ ১২০০ টাকা, সেচ, সার, বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা প্রর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে ভালো ফলন আর নিজে শ্রম দিতে পারলে চাষের খরচ বাদে কিছু লাভ থাকবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৯০০হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লক্ষা মাত্রায় কিছুটা পিছিয়ে আছি। এ পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রণোদনার উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদী আমন ধান বীজ ও সার দিয়েছি। এছাড়াও প্রদর্শনি দেয়া আছে। এসব আগাম জাতের ধান কর্তন করে করে কৃষকরা যাতে আগাম জাতের সরিষার ও সবজির চাষাবাদ করতে পারেন তার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন আছেন তারা কৃষকদের উদ্বদ্ধু করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
0 Comments