কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করার দায়ে রফিকুল ইসলাম (বাঘা) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। অপহৃতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের দুর্লভকুটি গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা শারমিন আক্তার সাম্মী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। পাশ্ববর্তী সুখদেব মৌজার রফিকুল ইসলামের (বাঘা) পুত্র রিপন মিয়ার (১৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়ে জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে ছেলের পরিবারে জানানো সহ ছেলেকে শাসন করা হয়।
এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন মিয়া মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দিতে থাকে। গত ১৭ই জুন আনুমানিক সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসা যাবার পথে উপজেলার রতিগ্রাম বাজারের নিকটবর্তী গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের কাছ থেকে উক্ত প্রেমিক রিপন মিয়া ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। দিন শেষে বেলা গড়িয়ে গেলেও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাদের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে গেছে রিপন মিয়া।
রিপন মিয়ার বাড়িতে দফায় দফায় মেয়ের খোঁজ জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করলে মেয়ের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শনিবার ২১শে জুন রাজারহাট থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে প্রেমিক রিপন মিয়ার বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম (বাঘা) কে রোববার ২২শে জুন তার বাড়িতে রাজারহাট থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেন।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় একজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ তছলিম উদ্দিন বলেন,মেয়ের পরিবার থেকে একটি মামলা করা হয়। এতে ছেলে সহ ছেলের বাবা ও মাকে আসামি করলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলের বাবা রফিকুল ইসলামকে আটক করি। ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদকঃ ইব্রাহিম আলম সবুজ, রাজারহাট,কুড়িগ্রাম
0 Comments