তদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে ৫ হাজার টাকা
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্যক্রমে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারের গর্ভবতী নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত এই সহায়তার অর্থ পেতে আবেদনকারীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের কিছু ওয়ার্ড মেম্বার, ভাইস চেয়ারম্যান এবং কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। অভিযোগ রয়েছে, একটি সুসংগঠিত ‘সিন্ডিকেট চক্র’ দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করছে।
আবেদনকারীদের হয়রানি
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন করতে গেলে প্রথমেই বলা হয়, ‘৫ হাজার টাকা না দিলে আবেদন জমা হবে না, অথবা নাম তালিকাভুক্ত হবে না।’
ভুক্তভোগীর কান্নাজড়িত অভিযোগ
একজন হতদরিদ্র নারী বলেন,
“সরকারের টাকা পেতে হলে আগে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে — তারা এমনটাই বলে। না দিলে কাগজপত্র হবে না। আমরা গরীব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাবো?”
সচেতন নাগরিকের ক্ষোভ
একজন স্থানীয় সচেতন নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“সরকার যেখানে দরিদ্র মায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে কিছু লোভী জনপ্রতিনিধি সেই টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে। এটা শুধু দুর্নীতি নয়, মানবতার বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর অপরাধ।”
সিন্ডিকেটের দীর্ঘদিনের দৌরাত্ম্য
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। প্রতি বছর বিভিন্ন সরকারি সুবিধার ক্ষেত্রে এভাবেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
ভুক্তভোগীরা দ্রুত উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
যদি কেউ মাতৃত্বকালীন ভাতা বা অন্য কোনো সরকারি সুবিধার নামে হয়রানির শিকার হন, আমাদের ইনবক্সে তথ্য দিন। আমরা সত্য তুলে ধরতে আপনাদের পাশে আছি।
0 Comments