কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলা পাকারমাথা গ্রামে চরম বিদ্যুৎ সংকটের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়ে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে ফিরে আসে, এমন দুর্ভোগ এলাকাবাসীর নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে এমন অসহনীয় লোডশেডিং চললেও বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে মানুষ ঘরে থাকতে পারছে না, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এই সমস্যার মুখে চরম বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শিমুলতলা দারুসুন্নাহ মডেল মাদ্রাসা—একটি আবাসিক কওমি মাদ্রাসা—সেখানে ছাত্ররা রাতের অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ পড়তে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে এক হাতে হাতপাখা নেড়ে গরম সহ্য করছে, অন্য হাতে মোমবাতি ধরে রেখে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন চিত্র আমাদের সমাজের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার দুরবস্থা তুলে ধরে।
অভিভাবকরা বলেন, “আমরা সন্তানদের আলোর পথে পাঠিয়েছি, কিন্তু তারা এখন অন্ধকারে পড়াশোনা করছে। এটা কষ্টের, লজ্জার এবং দুঃখজনক।”
এমতাবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত এই অস্বাভাবিক লোডশেডিং সমস্যার সমাধান চায়। তারা কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও উর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে মাননীয় সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেন তারা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদকঃ দিদার আহমেদ জীবন
0 Comments