Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ফুলবাড়ীতে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান



কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | ২৯ জুলাই ২০২৫


কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।


মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলা গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।


সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা আব্দুল হাই, শরিফুল ইসলাম, সানরেজা বসুনিয়া, সিদরাতুল সবুজ, মুন সরকার, জেলাল সরকার প্রমুখ।


বক্তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যেগুলো হলো—

১. ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে দ্রুত প্রত্যাহার।

২. উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আনা।

৩. বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোনো কিন্ডারগার্টেন বা প্রাইভেট টিউশন কার্যক্রম বন্ধ রাখা।

৪. প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আনা।

৫. কোনো সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তার রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।


বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।


পরে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুমের কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে।


এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিপিকা রায় বলেন, “নুর মোহাম্মদ নামে একজন কর্মকর্তা এখানে যোগদানের কথা রয়েছে, তবে তিনি ঘুষ বা দুর্নীতিতে জড়িত কি না সে বিষয়ে আমরা অবগত নই।”


ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, “শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আমার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”


স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে শিক্ষার পরিবেশে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

Post a Comment

0 Comments