নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) | ৩ জুলাই ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম-সদস্য সচিব মো. জাকারিয়া সরকার পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ‘হামার কুড়িগ্রাম’-এ পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে জাকারিয়া সরকার জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে "যুগ্ম-সদস্য সচিব" পদ দেওয়া হলেও শুরুতেই বলা হয়েছিল এটি একটি নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তিনি দেখতে পান, সংগঠনটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষাবলম্বী কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, “আমি অনেক আগেই, ক্লাস নাইন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত। কোনোভাবেই দ্বৈত অবস্থানে থাকতে রাজি নই। রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে অরাজনৈতিক ব্যানারে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করাটা আমি সম্পূর্ণ অনৈতিক মনে করি।”
নৈতিক দায়বদ্ধতা ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই তিনি সংগঠন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বলেও জানান।
জাকারিয়ার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সচেতন মহলের মাঝে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তকে সাহসিকতাপূর্ণ ও নীতিনিষ্ঠ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার যুগ্ম-সদস্য সচিব লোকমান হোসেন লিমন ‘হামার কুড়িগ্রাম’-কে বলেন,
“পদত্যাগ করা তার ব্যক্তিগত অধিকার। তবে তিনি যে অভিযোগের ভিত্তিতে পদত্যাগ করেছেন, তা সত্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আমাদের অনেক সদস্য বৈষম্যবিরোধী থেকে পদত্যাগ করে পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনে যোগদান করেছেন। ফলে বৈষম্যবিরোধীর সঙ্গে এনসিপির কিছু সদস্যের ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমরা কখনোই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডার হাতিয়ার হতে দিইনি, ভবিষ্যতেও দেব না। কেউ যদি সংগঠনের পরিচয় ব্যবহার করে গোপনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন এবং তা প্রমাণিত হয়—তবে তার বিরুদ্ধে আমরা নির্দ্বিধায় কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব, ইনশাআল্লাহ।”
0 Comments